নওগাঁর বদলগাছীতে অবৈধভাবে ৫শ বস্তা (২৫ মে. টন) চাল মজুদ করার অপরাধে জামাই শ্বশুরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সঙ্গে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন উপজেলার জিওল নিমতলী গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই চাল জব্দ করাসহ মজুদকারীদের আটক করা হয়। তাদের কাছে চাল মজুদ করার কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। আটককৃতরা হলো(মজুদকারী বাড়ির মালিক) জাহিদুল ইসলাম ও তার বড় জামাই শিবলু হোসেন। নিমতলী স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদের দুচার দিন আগে সন্ধ্যা রাতে বড় এক ট্রাক ও এক ভটভটি যোগে এ চাল নিয়ে আসা হয়।
এ সময় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আনাগোনা শুরু হয় এতো চাল কোথা থেকে আসল, কেন আসল? এক পর্যায় প্রকাশ হয়ে পড়ে জাহিদুল ইসলামের ছোট জামাই মহাদেবপুর উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল তরফদার এ চাল পাঠিয়েছে। চালের প্রতিটি বস্তায় লেখা আছে বর্ষা সুপার কাটারি আতপ চাল।
অপরদিকে মহাদেবপুরের একাধিক সূত্র জানায়, শাকিল চেয়ারম্যান কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির চাল পাচার করেছে। তবে কোন চালকল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কর্মসূচির চাল পরিবর্তন করে কাটারি আতপ চাল সেখানে মজুদ করেছে। ওই সূত্র আরো জানায়, যে চালকল থেকে চাল সংগ্রহ করেছে, সে চালকল ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসা করলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাল ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা ধানচাল মজুদ করি কৃষকের কাছ থেকে কিনে অথবা খোলা বাজার থেকে কিনে।
মিল থেকে চাল কিনে মজুদ করে কি ব্যবসা করবে? এর মধ্যে ভিন্ন কোন রহস্য আছে। এ বিষয়ে মহাদেবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল তরফদারে সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ হয়নি। মামলার তদন্তকারী অফিসার থানার এসআই জিয়াউর রহমান জানান, অধিক লাভের আশায় মজুদ করে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপনন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর ৩(ঘ)/৪ ধারায় মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বাদি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান এর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেন নি।