নওগাঁয় বেড়েই চলেছে বাল্যবিবাহের প্রবণতা।
অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের অসচেতনতা, এবং ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বাল্যবিবাহে সহযোগিতা করার কারণে এই সমস্যা আরও বাড়ছে। ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন অফিসের জরিপ অনুযায়ী, বাল্যবিবাহের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এটি রোধ করতে সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজন।
বাল্যবিবাহের সঙ্গে এগুলো সত্যিই দুষ্ট চক্রের মতো ঘুরতে থাকে। অল্প বয়সে বিয়ে হলে মা হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েটির নিজস্ব মতামত নেওয়ার অধিকার থাকে না। বিয়ের পরপরই সন্তান হয়ে যায়। দুই সন্তানের মাঝখানে প্রয়োজনীয় বিরতি থাকে না। একাধিক সন্তান ধারণের জন্য মেয়েটি বেশি সময় পায়। অনেক পরিবারে ছেলে না হওয়া পর্যন্ত সন্তান নেওয়া চলতে থাকে। ফলে মেয়েটির বেশি সন্তানের মা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এতে জনসংখ্যা যেমন বাড়ে, মায়ের প্রজননস্বাস্থ্যও ঝুঁকিতে পড়ে। শিশুমৃত্যু ও অপুষ্ট শিশুর ঝুঁকি তৈরি হয়। বাল্যবিবাহের কারণে পড়াশোনায় ইতি টানতে হয় বলে মেয়েটির শিক্ষায় এগোয় না, সামাজিক সক্ষমতাও বাড়ে না। অনুসন্ধান রিপোর্টে জানাযায়,বাল্যবিবাহের শীর্ষে থাকা নওগাঁ (৬৫ দশমিক ২ শতাংশ)।